শরীয়ত ও মারেফত এই দুইটি এলমের একটিও যদি ত্যাগ কর তবে কেয়ামতের দিন অন্ধ হয়ে উঠবে।
আল্লাহর ওলীরাও বাইয়াত হয়েছেন...বড়পীর হযরত আব্দুল কাদির জিলানী (রহঃ), তিনি মাতৃ গর্ভে থেকে ১৮ পারা পবিত্র কোরআন শরীফের হাফিজ হয়ে দুনিয়াতে ভূমিষ্ঠ হয়েছেন। জাহেরী ইলিমও শিক্ষা করেছেন।
তবুও
তিনি
কেন
হযরত
শেখ
আবু
ছাইদ,মাখজুমী (রহঃ)
এর
নিকট
বাইয়াত হয়েছেন! হযরত
খাজা
গরীবে
নেওয়াজ (রহঃ),হযরত খাজা ওসমান
হারুনী
(রহঃ)
এর
নিকট!
হযরত
খাজা
বখতিয়ার কাকী
(রহঃ),
হযরত
খাজা
মঈনুদ্দিন চিশতী
(রহঃ)
এর
নিকট!
হযরত
খাজা
শেখ
ফরীদ
(রহঃ),
হযরত
খাজা
বখতিয়ার কাকী
(রহঃ)
এর
নিকট!
হযরত
খাজা
নিজাম
উদ্দিন
চিশতী
(রহঃ)--হযরত খাজা শেখ
ফরীদ
(রহঃ)
এর
নিকট!
হযরত
খাজা
শাহ্
জালাল
(রহঃ),
হযরত
খাজা
সৈয়দ
আহমদকবীর(রহঃ)'র নিকট! হযরত
খাজা
বায়েজীদ বুস্তামী (রহঃ),
হযরত
খাজা
আবু
আলী
সিন্দি
(রহঃ)
এর
নিকট!
হযরত
খাজা
মুজাদ্দিদে আলফেসানী (রহঃ)--হযরত খাজা বাকী
বিল্লাহ্ (রহঃ)
এর
নিকট!
হযরত
খাজা
বাহাউদ্দিন জাকারিয়া (রহঃ),
হযরত
খাজা
আমীর
সৈয়দ
কুনান(রহঃ)'র নিকট!
হযরত
ইমাম
গাজ্জালী (রহঃ),
হযরত
শেখ
আবু
আলী
(রহঃ)
এর
নিকট!
এমন
কি
জগৎ
বিখ্যাত মাওলানা জালাল
উদ্দিন
রুমী
(রহঃ),,
হযরত
শামস
তাবরীজ
(রহঃ)
এর
নিকট
বাইয়াত গ্রহণ
করেছেন।
পৃথিবীতে এমন
কোন
ওলী
আল্লাহ্ বা
পীর
নেই
যিনি
বাইয়াত গ্রহণ
ছাড়া
কামেল
ওলী
হয়েছেন.
এমন
কি
শেখ
ফরিদ
উদ্দিন
চিশতী
(রহঃ)
৩৬
বৎসর
এবাদত
বন্দেগী করেও
হযরত খাজা বখতিয়ার কাকী
(রহঃ)
এর
নিকট
বাইয়াত গ্রহণ
পূর্বক
২৪
বৎসর
তার
খেদমত
করে
কামেল
ওলী
হয়েছেন. যদি
বাইয়াত গ্রহণ
ছাড়া
চলতো
তবে
তার
মতো লোকের তো
আর
পীর
ধরার
দরকার
ছিল
না।
খোদা
দর্শনের জন্য
বাইয়াত গ্রহণ
করা
একান্ত
প্রয়োজন.
এ
জন্য
জগত
শ্রেষ্ঠ মাওলানা জালাল
উদ্দিন
রুমী
(রহঃ)
বলেছেনঃ""এক জামানা
ছোহবতে
বা
আউলিয়া, বেহেস্তের ছদসালে
তায়াতে বেরিয়া"" অর্থাৎঃ --- কিছুকাল কোনো
ওলীর
সহিত
বসা.
একশত
বৎসর
বেরিয়া এবাদতের চেয়ে
শ্রেষ্ঠ।
তিনি
আরো
বলেছেন
যে,,
আমি
যত
বড়
পুথিগত
বিদ্যা
হই
না
কেন
যে
পর্যন্ত শামস
তাবরীজ
(রহঃ)
এর
কম্বলের নীচে
না
গিয়েছি,, সে
পর্যন্ত আমি
জ্ঞান
অর্জন
করতে
পারি
নাই.
কম্বলের নিচে
যাওয়া
মানে
বাইয়াত গ্রহণ
করা।
""সিয়ারুল আসরার কিতাবে"" হযরত বড়পীর
(রহঃ)
লিখেছেনঃ ক্বলব
জিন্দা
করার
জন্য
পীর
বা আহলুত তালকীন
অন্বেষণ করা
ফরয.
হযরত
মহী
উদ্দিন
ইবনুল
আরাবী
(রহঃ)
তিনি
বলেছেনঃ""আল ফেকাউ
লি
ছালাহিল জাহেরে
আল
তাসাউফ
লি
এছলাছির বাতেনে""
অর্থাৎঃ--- ফেকাহ্
শাস্ত্র মানুষের শরীয়তকে শুদ্ধ
করে,
আর
তাসাউফ
মানুষের অন্তরকে পরিস্কার করে.
মাওলানা রুমী
(রহঃ)
বলেনঃ
কোনবীয়ে ওয়াক্ত খেসাশত আয়,
মুরিদ
তাকে
নুরে
নবী
আমাপদীদ! অর্থাৎঃ তোমার
পীরকে
জামানার নবী
মনে
কর.
তিনি
আরো
বলেনঃ
""খোদ-ব-খোদ কামেল
না--শোধ- মাওলানায়ে রুম-তা-- গোলামে শামসের--
তাবরেজী না-শোধ"" অর্থাৎঃ আমি কখনো নিজে
কামেল
হতে
পারি
নাই
যতক্ষণ
না
আমি
শামস
তাবরীজ
(রহঃ)
এর
গোলাম
হয়েছি...
রুহ
ছাড়া
যেমন
দেহ
বাঁচে
না,,
তেমনি
দেহ
ছাড়া
রুহ
থাকে
না.
শরীয়ত
ও
মারেফত
এই
দুইটি
এলমের
একটিও
যদি
ত্যাগ
কর
তবে
কেয়ামতের দিন
অন্ধ
হয়ে
উঠবে।
মাওলানা জালাল
উদ্দিন
মুহাম্মদ রুমী
(রহঃ) ----- তিনি বলেন,
খোদাকে পাওয়ার ইচ্ছা
থাকলে,,
কোনো
কামেল
পীরের তালাশ করে নাও,, কেননা, কামেল পীরের সাহায্য ব্যতিরেকে জীবনভর পরিশ্রম করলেও আল্লাহর সন্ধান পাওয়া যাবে না.
No comments