মেরাজে নবীদের কবরের জীবন
ইসলামী আকীদা অনুযায়ী, আল্লাহ তাআলা তাঁর নবী ও রাসূলদের একটি বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন। মৃত্যুর পরও তাঁদের জন্য রয়েছে ব্যতিক্রমধর্মী জীবন—যা সাধারণ মানুষের কবরের জীবনের মতো নয়। একে বলা হয় "হায়াতুন নবিয়্যীন ফি কুবুরিহিম" — অর্থাৎ নবীদের কবরের জীবন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন: “নবীগণ তাঁদের কবরস্থলে জীবিত, এবং তাঁরা নামাজ আদায় করেন।” (সুনান আবু দাউদ)
আনাস ইবনে মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, নবীগণ তাঁদের কবরের ভেতর জীবিত এবং নামাজ আদায় করেন। (আবু ইয়ালা: ৩৪২৫; সহিহ করেছেন শায়খ আলবানী, সিলসিলা আস-সহিহা: ৬২১)
এটি স্পষ্ট প্রমাণ যে, নবীদের মৃত্যুর পর তাঁদের জীবন থেমে যায় না; বরং আল্লাহ তাআলা তাঁদের জন্য কবরেই এক সম্মানিত ও নূরানী জীবন দান করেছেন।
🔹 এই কবরের জীবনের বৈশিষ্ট্য হলো:
১. নবীগণ কবরেই ইবাদত চালিয়ে যান।
২. তাঁরা তাঁদের উম্মতের দুরুদ ও সালামের জবাব দিয়ে থাকেন।
৩. তাঁদের কবর জান্নাতের একটি বাগানে রূপান্তরিত হয়।
এই বিষয়টি আমাদেরকে শিক্ষা দেয়—নবীদের মর্যাদা কেবল দুনিয়ায় নয়, মৃত্যুর পরও বহাল থাকে। তাঁদের প্রতি দরূদ ও সালাম পাঠ করা শুধু একটি বরকতময় আমলই নয়, বরং তাঁদের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন।
শেষে বলবো—
নবীদের প্রতি ভালোবাসা ঈমানের অঙ্গ। তাঁদের মর্যাদা ও অবস্থান সম্পর্কে সঠিক আকীদা পোষণ করা আমাদের ফরজ দায়িত্ব। নবীদের কবরের জীবন সম্পর্কে অবগত থাকা ঈমানকে দৃঢ় করে এবং সুন্নাহর অনুসরণে আগ্রহ জাগায়।
No comments