ফিলিস্তিনসহ সারা বিশ্বের মুসলিম কেন মার খাচ্ছে
ফিলিস্তিনসহ সারা বিশ্বের মুসলিম কেন মার খাচ্ছে
মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ করেছেনঃ- * তারাই আল্লাহর দল! জেনে রাখো, আল্লাহর দলই বিজয়ী * ( সূরা মুজাদালাহঃ ২২)
উক্ত আয়াত থেকে স্পষ্ট হয়, যারা আল্লাহ্র দল তারাই শুধুমাত্র বিজয়ী। আমরা সবাই ইসলাম ধর্মের অনুসারী। আর মহান আল্লাহ্ সূরা আলে ইমরানের ১৯ নং আয়াতে বলেছেঃ- *একমাত্র ইসলাম ধর্ম আমার মনোনীত ধর্ম* এই হিসাবে ইসলাম ধর্মের অনুসারীরাই একমাত্র আল্লাহর দল।
এখন প্রশ্নঃ- আল্লাহর দলই যদি বিজয়ী হয় তাহলে মুসলিমরা কেন বিধর্মীদের কাছে পরাজিত হচ্ছে বারবার নাকানি-চুবানি খাচ্ছে, তাহলে কি বর্তমানে যে মুসলিমদের দেখছি তারা কি আল্লাহ্র দল নয়? যদি আল্লাহ দল হয়েই থাকে তাহলে তো বিজয়ী হওয়ার কথা। আবার, মহান আল্লাহ সূরা আলে ইমরানের ৯ নং আয়াতে ইরশাদ করেছেনঃ- * নিশ্চয়ই আল্লাহ্ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না* এই আয়াত থেকে প্রমাণ হয় আল্লাহ্ যেহেতু বলেছে, *আল্লাহ্র দল বিজয়ী তাহলে এটা 100% নিশ্চিত* বরং আমরা যারা মুসলিম দাবি করছি এরা প্রকৃত আল্লাহ্র দল নয়!
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ- عَلِيٌّ وَ شِيعَتُهُ
هُمُ الْفَائِزُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ. আলী
(رضي الله عنه) এবং
তাঁর অনুসারীরা নিঃসন্দেহে কেয়ামতের দিন বিজয়ী।
( আল ফেরদৌস, হাদিস নং- ৪১৭২)
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ مَنْ فَارَقَ عَلِيّاً
فَقَدْ فَارَقَنِي وَ مَنْ فَارَقَنِي
فَقَدْ فَارَقَ اللهَ عَزَّوَجَلَّ.
যে ব্যক্তি আলী (رضي الله
عنه) থেকে পৃথক হয়
সে আমা থেকে পৃথক
হলো আর যে আমা
থেকে পৃথক হলো সে
মহান আল্লাহ থেকে পৃথক
হয়ে গেল।
(আল মানাকিব- ইবনে মাগাযেলী ২৪০/২৮৭, আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৪, আল মু’জামুল কাবীর- তাবারানী ১২:৩২৩/১৩৫৫৯)
উপরোক্ত দুইটি হাদিস থেকে স্পষ্ট হযরত মাওলা আলী (আঃ) এর অনুসারীরাই বিজয়ী এবং আল্লাহ্র দল। বর্তমানে ৭২ ফিরকার মুসলিম মাওলা আলী (আঃ) হতে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই, ৭২ ফিরকায় আল্লাহ্র দল থেকে খারিজ।
মহান আল্লাহ্ যে ঘোষণা দিয়েছেন, *আল্লাহ্র দলই বিজয়ী* এইটা চূড়ান্ত। যেহেতু ৭২ ফিরকা আল্লাহ্র দল নয় সেহেতু ১ কোটি বার জিহাদ করলেও বিজয়ী হবে না। কারণ একটাই তারা হযরত আলী মুশকিল কোশা (আঃ) থেকে পৃথক। যার ফলে আল্লাহ্র দল থেকে খারিজ।
শেষ করছি একটি
হাদিস পাক দিয়ে!
لَأَعْطِيَنَّ الرَّايَةُ غَداً رَجُلاً يُحِبُّ اللهَ وَ رَسُولَهُ، وَ يُحِبُّهُ اللهُ وَ رَسُولُهُ، كَرَّارٌ غَيْرُ فَرَّارٍ، فَلَمَّا أَصْبَحَ النَّاسُ، قَالَ : أَيْنَ عَلِيٌّ؟ فَدَفَعَ الرَّايَةَ إِِلَيْهِ، فَفَتَحَ اللهُ عَلَيهِ. আগামীকাল পতাকাকে এমন কারো হাতে তুলে দেব যাকে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল ভালোবাসেন, আর সেও আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ভালোবাসে। সে অবিচল দৃঢ়পদ, কখনো পলায়ন করে না। যখন সকাল হলো, বললেন, ‘‘আলী (رضي الله عنه) কোথায়?’’ অতঃপর পতাকাকে তাঁর হাতে অর্পণ করলেন এবং আল্লাহ তাঁকে বিজয় দান করলেন।
(সহীহ বুখারী ৫:৮৭/১৯৭-২৭৯/২৩১, সহীহ মুসলিম ৪:১৮৭১/৩২-৩৪, সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৮/৩৭২৪)
পরিশেষে বলতে চাই, আমরা যেই দিন থেকে মাওলা আলী মুশকিল কোশা (আঃ) থেকে পৃথক হয়েছি সেইদিন থেকে মার খাওয়া শুরু করেছি। আবার, যেদিন থেকে মওলা আলী (আঃ) কে নেতা হিসাবে মেনে নিব সেইদিন থেকে আমাদের মার খাওয়ার দিন শেষ হবে। আমরা আবার বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব!
No comments