Header Ads

Header ADS

আব্দুল ওহাব নজদী কতৃক মাজার ও কবর ধ্বংস করার সংস্কৃতি

ইবনে আব্দুল ওহাব নজদী কতৃক মাজার ও কবর ধ্বংস করার সংস্কৃতি : ইবনে আব্দুল ওহাব আনুমানিক ১৭৪০ সাল থেকে ভ্রান্ত ওহাবি মতবাদ প্রচার করতে থাকেন যে মাজার জিয়ারত করা মাজার পুজার শামিল । তাই মাজার জিয়ারত ও এর জন্য সফর উভই হারাম। তাঁর এ ভয়ংকর মতবাদ দেখে তার পিতা তাঁকে তা থেকে বিরত থাকতে বলেন। ১৭৪৫ সালে তার পিতার মৃত্যু পর্যন্ত তিনি তার এ ভ্রান্ত মতবাদ প্রচারে বিরত থাকেন। কিন্তু তার পিতার ইন্তেকালের পরপরই আবার শুরু হয় তার এ প্রচারনা। তারই আপন ভাই তাঁকে এ ব্যাপারে পিতার নির্দেশের কথা স্মরণ করেও কোন ফল হয় নি। ভায়ের বাধার কারণে পরবর্তিতে সে তার নিজের ভাইকে হত্যা করে। শুধু তাই নয়, তারা আরবে অবস্থিত মাজার গুলো ধ্বংস করতে থাকে। উনবিংশ শতাব্দির শুরুতে এই ওহাবিরা মক্কা-মদিনা আক্রমণ করে সব কবর ধ্বংস করে ফেলে। কেবল মাত্র মসজিদে নববীতে অবস্থিত রাসুলে পাক (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও তাঁর দুই সঙ্গী হযরত আবু বকর (রা) ও হযরত ওমর (রা) এর রওজা গুলো রক্ষা পায়। 

তারা বারবার ওগুলো ভাংতে উদ্যোগ নিলেও মুসলিম বিশ্বে বিশেষ করে মিশর ও তুরুস্কের প্রবল বাধা ও হুমকির মুখে তা থেকে বিরত থাকে। এভাবে মাজার ভাঙার সংস্কৃতি তাদের মাধ্যমে বিবিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে, যা লিবিয়া, মালি, সোমালিয়া, তিউনিসিয়া, ইরাক ও সিরিয়াতে প্রত্যক্ষ করা যায়। ইরাকে যৌন জিহাদীরা হাজার হাজার মাজার ও কবর ধ্বংস করছে । এরা নবি ও সাহাবীদের মাজারগুলোকেও রেহাই দিচ্ছে না । তারা মাজারের মধ্যে থাকা তাজা লাসকেও পর্যন্ত পা দিয়ে পিছে মারাতে কার্পন্য করছে না । কত বড় বেয়াদব এরা ! আল্লাহর অভিশাপ তাদের ও তাদের সমর্থকদের উপর পড়ুক । বাংলাদেশেও তাদের দোসররা হযরত শাহ জালাল (রা) সহ ভিবিন্ন স্থানে বোমা হামলা করেছিলো। এরা তালেবানি আর আল-কায়েদার উত্তরসূরি। সন্ত্রাসির মাধ্যমে তারা ইসলামের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছে। কিন্তু তারা বুঝে না যে স্বয়ং নবী করীম (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মাজার জিয়ারতের জন্যে অসিয়ত করে গেছেন। তারা যুক্তি দেখায় নবীজি ইন্তেকালের পুর্ব মুহুর্তে মাজার পুজারিদেরকে ভর্তসনা করে গেছেন। নবীজি ইহুদি-খৃস্টান্দেরকে লানত দিয়ে গেছেন যারা নবীদের মাজারকে মসজিদ বা সেজদার জায়গা বানিয়েছিল। মাজার জিয়ারত কে নিষেধ করেন নি। ওহাবী আর তাদের দোসররা মুনাফিক। মানুষকে হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা করে বিভ্রান্ত করছে।

আব্দুল ওহাব নজদী ও সৌদ মিলে ইসলামের মধ্যে বিরাট ফেতনার সৃষ্টি করেছে। সৌদ কে? তিনিই সে সউদ, যার প্রশ্রয়ে রাসূলে পাক সাল্লালাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়া সালাম-এর রওজা মোবারককে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার চক্রান্ত চলেছিল, যার আশ্রয়ে জান্নাতুল বাকীর অগণিত সাহাবায়ে কেরামের সুনির্দিষ্ট মাযার ও তার গম্বুজ এবং মিনার ও যাবতীয় মুসলিম ঐতিহ্যের নিদর্শণ নিধন হয়েছে। সৌদ নিজের নামে আরবের নাম রেখেছে সৌদি আরব। আল্লাহ আমাদেরকে আউলিয়ায়ে কেরামের প্রকৃত ইসলামের মধ্যে দাখিল হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমীন!!


No comments

Powered by Blogger.