জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদূদী
আবুল আলা মওদুদী (১৯০৩-১৯৭৯) পাকিস্তান ভিত্তিক দল জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা। যা বর্তমানে পৃথিবীর অনেক দেশেই তাদের ধর্ম ব্যবসা খুলে বসেছে। প্রথম দিকে মওদূদী পাকিস্তান রাষ্ট্র বিরোধীতা করলেও ১৯৪০ এর দশকে এসে নিজের ভোল পাল্টায় এবং তখন থেকেই সে পাকিস্তানে তার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়। সে ইসলামকে একটি জীবন ব্যবস্থার পরিবর্তে একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে প্রচার করতে শুরু করে। ইসলামের মৌলিক নীতি ও ভিত্তিসমূহ উপেক্ষা করে মওদূদী শাসন ব্যবস্থা ও মওদুদীবাদ প্রচারের ওপর বেশী জোর দেয়। মওদুদী বলেন, “শাসন ও কর্তৃত্ব করার নামই হচ্ছে ধর্ম, শাসন ব্যবস্থার আইন হলো শরিয়া এবং উপাসনা হচ্ছে শাসন ব্যবস্থার এতিহ্যকে অনুসরন করা।”
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। যুগে যুগে আউলিয়ায়ে কেরামগণ এই ইসলামের ছায়াতলে মানুষকে আহবান করে মুক্তির পথ বাতলিয়ে দিয়েছেন। ভারতবর্ষে খাজা মঈন উদ্দিন চিশতী (রহঃ) ৯০ লক্ষ মানুষকে মুসলমান করেছেন। এই বাংলাদেশে হযরত শাহ জালাল (রহঃ), হযরত শাহ পরান (রহঃ), শাহ আলী বাগদাদী (রহঃ), আদম শহীদ (রহঃ), কিল্লা শাহ (রহঃ) শাহ্ সোন্দর, আমানত শাহ্,শাহ মাখদুম রূপস (রহঃ) প্রমুখ আউলিয়ায়ে কেরাম ইসলামের পতাকা উত্তোলন করেছেন। তাদের সেই পতাকাতলে আশ্রয় নিয়ে অগণিত মানুষ মুক্তির পথ পেয়েছেন। আউলিয়াগণের পথই ছিল ’সিরতাল মুস্তাকিম’ এর পথ। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থান হতে ইসলামের নামধারী শত্রু আবির্ভূত হয়ে ইসলামের নামে তাদের আক্বিদা প্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদী এরকম এক কুচক্রী ছিল। এই ওহাব নজদী ব্রিটিশ গোয়েন্দা হ্যামফারের সাথে অনেক অনৈসমালামিক কাজ করেছে। যা তার ডায়েরীতে লিপিবদ্ধ করেছে। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় সেই ডায়েরী জার্মানীদের হস্তগত হয়। তারপর জার্মানী পত্রিকা ‘ইসপাগুল’ এ ওহাব নজদীর অনৈসলামিক কাজগুলো বের হয়ে আসে। সেই ধারাবাহিকতায় পাকিস্থানের জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা আবুল আ’লা মওদুদী ইসলামের নামে কিছু বিভ্রান্তিকর আক্বিদা প্রচার করতে থাকে।
No comments