খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.)–এর কিছু অলৌকিক কেরামতের গল্প
১. শুকনো গাছের প্রাণ ফিরে আসা
খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.) আজমিরে পৌঁছে যখন ধ্যান-ইবাদতে মশগুল ছিলেন, তখন কিছু কাফের তাঁর প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করত। একদিন তারা পরীক্ষা করার জন্য তাঁকে বলল, "যদি তুমি সত্যিকারের আল্লাহর বন্ধু হও, তাহলে এই শুকনো গাছটিকে সবুজ করে দেখাও।"
খাজা সাহেব মুচকি হেসে আল্লাহর দিকে হাত তুলে দোয়া করলেন। সঙ্গে সঙ্গে সেই মরা গাছটি সবুজ হয়ে গেল, তাতে ফুল-ফল ধরে গেল। এই অলৌকিক ঘটনা দেখে বহু লোক তাঁর প্রতি ঈমান আনলো।
২. রাজা পৃথ্বীরাজের অহংকার ভেঙে দেওয়া
আজমিরের তৎকালীন রাজা পৃথ্বীরাজ চৌহান ছিল অহংকারী ও ইসলামের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ। তিনি খাজা সাহেবকে বাধা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.) আল্লাহর উপর ভরসা রেখে তাঁর দরগায় ইবাদত অব্যাহত রাখেন। অবশেষে আল্লাহর ইচ্ছায় পৃথ্বীরাজ চৌহান যুদ্ধের ময়দানে পরাজিত হয় এবং তার শাসন শেষ হয়ে যায়। এরপর আজমির শান্তির নগরীতে পরিণত হয়।
৩. দরিদ্র ভক্তের আর্থিক কষ্ট দূর
একদিন এক দরিদ্র ভক্ত এসে কান্নাকাটি করে বলল,
"ইয়া খাজা বাবা! আমি খুব কষ্টে আছি, সংসার চালাতে পারছি না।"
খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.) তাঁকে একটি শুকনো রুটি দিলেন এবং বললেন, "এটি বিক্রি করো, ইনশাআল্লাহ তোমার রিজিকের ব্যবস্থা হবে।"
দরিদ্র ভক্ত যখন সেই রুটি বিক্রি করতে গেল, তখন দেখতে পেল সেটি সোনায় পরিণত হয়েছে! তিনি জীবনের বাকী সময় সম্মানের সঙ্গে জীবনযাপন করতে পেরেছিলেন।
৪. পাথর ভেসে ওঠা
একবার কিছু লোক খাজা সাহেবের অলৌকিক শক্তির পরীক্ষা নিতে চাইল। তারা একটি বড় পাথর এনে বলল,
"তুমি যদি সত্যিই অলৌকিক শক্তির অধিকারী হও, তবে এই পাথরকে পানিতে ভাসিয়ে দেখাও।"
খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.) বিছিন্নভাবে দোয়া করলেন এবং আল্লাহর কুদরতে সেই ভারী পাথর পানির ওপর ভাসতে লাগল। এই দৃশ্য দেখে আশপাশের বহু অবিশ্বাসী মানুষ ঈমান গ্রহণ করল।
No comments