হযরত গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী (কঃ) পরবর্তি রূহানী উত্তরাধিকার নির্ধারনঃ
হযরত কেবলা এই ফরিয়াদের উত্তরে বলেন, মীর হাছান মিঞা নাবালেগ, আমার ‘দেলাময়না’ বালেগ! দেলাময়নাই আমার গদীতে বসবে।” বড় ভাই মীর হাছানকে (রহঃ) ‘নাবালেগ’ আর ছোট ভাই সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভান্ডারীকে (রহঃ) ‘বালেগ’ বলার এই বাস্তবতার বিপরীত রহস্যবাক্য উপস্থিত আশেক-ভক্তগন বুঝতে পারেন নাই।
হযরত সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারীর (কঃ) পরলোক গমনের তেতাল্লিশ দিন পর যখন বড় ভাই মীর হাছান মিঞাও জান্নাতবাসী হন তখন সকলে হযরতের পবিত্র কালামের রহস্য অনুধাবন করতে সক্ষম হন। যা ছিলো তার অসংখ্য কারামতের অন্যতম।হযরত সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভান্ডারী (রহঃ) তার উপর অর্পিত এই গাউছিয়ত ক্ষমতায় সাজ্জাদানশীন সাব্যস্ত হয়ে মাইজভান্ডারী পরিমন্ডলে আবির্ভূত হয়েছিলেন ব্যতিক্রমধর্মী এক নতুন সত্তা নিয়ে। সব্যসাচীর মতো যুগপৎভাবে রূহানি হেদায়ত আর মানবতার কল্যাণে নিয়োজিত ছিলেন।
খেলাফতের মাধ্যমে সাজ্জাদানশীন মনোনয়ন প্রসঙ্গে হযরত অছি-এ-গাউছুল আজম (রহঃ) বলেন, “বিশেষতঃ পীর ছাড়া পীর, ধর্মীয় বাধঁন হারা ফকির, কোরান হাদিস, ছুফী মতবাদ জ্ঞানহীন ফিকিরবাজ লোকের কাজ কারবারের ফলে ফকীরীর নামে যে উশৃঙ্খলতা দেখা দিয়াছে এই গুলির প্রতিও আমার দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। কামেল পীর, বুজুর্গানের নামে হুকুম, স্বপ্ন ইত্যাদি উদ্দেশ্যমুলক মিথ্যা কথা ফলাইয়া যাহারা এই ব্যবসা চালায় এবং সরল বিশ্বাসী লোককে ঠকায় তাহারা অনেকেই নিজের কোন ছিলছিলা দেখাইতে না পারায় নিজেকে মাইজভান্ডারী বা আজমিরী বলিয়া পরিচয় দেয়।
যেহেতু এই দেশে উক্ত দুই দরবারের নাম শান অতি প্রসিদ্ধ।” তাই মাইজভান্ডারী ত্বরিকার সঠিক আঙ্গিক ও ফয়েজ লাভের স্থান ও মূল মাইজভান্ডারী পীর-মুর্শিদের আঙ্গিক সর্ম্পকে অবগত হওয়া জরুরী।
No comments