উম্মতের জন্য পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ – মিরাজের স্মরণীয় ঘটনা
মিরাজের রাতে (ইসরা ও মিরাজ), মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আকাশমণ্ডলে আল্লাহর সান্নিধ্যে পৌঁছান। এই মহান যাত্রায় আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় হাবিবকে এমন একটি উপহার দেন, যা ছিল মুসলিম উম্মতের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত — নামাজ।
প্রথমে কত ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হয়েছিল?
হাদীসে এসেছে, মিরাজের সময় আল্লাহ তাআলা পঞ্চাশ (৫০) ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছিলেন।
নবীজি (সা.) তা গ্রহণ করে ফিরে আসার সময় হযরত মূসা (আ.)-এর সঙ্গে দেখা হলে, তিনি বলেন: “তোমার উম্মত এতগুলো নামাজ আদায় করতে পারবে না। তোমার রবের কাছে ফিরে যাও এবং হালকা করার জন্য অনুরোধ করো।”
এরপর নবীজি (সা.) আল্লাহর কাছে ফিরে যান এবং ধাপে ধাপে নামাজের সংখ্যা ৫০ থেকে কমে ৫ ওয়াক্ত হয়।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজেই পঞ্চাশের সওয়াব
শেষ পর্যন্ত যখন নামাজ পাঁচ ওয়াক্তে নির্ধারিত হয়, তখন আল্লাহ বলেন: “হে প্রিয় রাসূল ! এগুলো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ হলেও তা পঞ্চাশ ওয়াক্তের সমান। আমি আমার কথা পরিবর্তন করি না।” (সহীহ মুসলিম), অর্থাৎ উম্মত শুধু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লেও পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজের পূর্ণ সওয়াব পাবে।
এই ঘটনার শিক্ষা
✅ নামাজ ইসলামের মূল স্তম্ভগুলোর অন্যতম।
✅ এটি আল্লাহর নিকট সর্বপ্রথম ফরজ ইবাদত।
✅ এই ইবাদত আল্লাহ স্বয়ং সরাসরি দিয়েছেন, যা অন্য কোনো ইবাদতের ক্ষেত্রে হয়নি।
✅ নবীজি (সা.)-এর দয়া ও মূসা (আ.)-এর পরামর্শের মাধ্যমে উম্মতের ওপর সহজতা এসেছে।
উপসংহার
মিরাজের রাতে প্রথমে পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে পরে তা পাঁচ ওয়াক্তে কমিয়ে দেওয়াটা আল্লাহর এক অসীম দয়ার নিদর্শন। আমাদের উচিত এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যথাযথভাবে আদায় করে সেই মহামূল্যবান উপহারকে মূল্যায়ন করা এবং নবীজি (সা.)-এর উম্মত হিসেবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করা।
No comments