পাক পাঞ্জাতনের পরিচয় ও পঁচিশের ভেদ তত্ত্ব ।
পাক পাঞ্জাতনের পরিচয় ও পঁচিশের ভেদ তত্ত্ব ।
১.
হযরত
মুহাম্মদ (সাঃ)
আল্লাহর ইচ্ছা
পূরনের
প্রতীক।
২.
হযরত
আলী
(আঃ)
আল্লাহর শক্তি
ও
বিচারের প্রতীক।
৩.
হযরত
ফাতেমা
( সাঃ
আঃ)
আল্লাহর সংযম
ও
সৌন্দর্যের প্রতীক।
৪.
হযরত
হাসান
(আঃ)
আল্লাহর শান্তির প্রতীক।
৫.
হযরত
হোসাইন
(আঃ)
আল্লাহর সত্য
ও
ত্যাগের প্রতীক।
হাদিসে
কুদসিতে আল্লাহ
পাক
বলেন
– (আমি
গুপ্তধনাগারে মহাশক্তি স্বরূপ
গোপন
ছিলাম।
নিজেকে
প্রকাশ
করতে
ইচ্ছা
হলো
তাই
সৃষ্টির সৃজন
করে
প্রকাশিলাম।) আল্লাহ
পাক
যখন
করলেন তখন আহাদ
নাম
ধারন
করলেন।
আহাদ
হতে
আহাম্মদ নাম
প্রকাশিত। আহাম্মদ আহাদের
দ্বিতীয় অবস্থা
রাসুল
(সাঃ)
বলেছেন-
“আনা
আহমাদু
বেলা
মিম”। ‘আমি মিম
শুন্য
আহাম্মদ অর্থাৎ
যিনি
আহাদ
তিনি
আহাম্মদ’।
যেমন
জল
বরফ।
আহাদ
– আহাম্মদ, মুহাম্মদ।বাষ্প, জল,
বরফ।
গঞ্জে
মখফিতে
তথা
গোপনও
অব্যক্ত অবস্থায় কেবল
আমিত্ব
নিয়ে
স্বমহিমায় বিরাজিত ছিলেন
জাত
পাক
আল্লাহ। ইশকে
চেতন
পেয়ে
সৃষ্টির এরাদা
হলো
উদ্দেশ্য নিজেকে
প্রকাশ
করা।
এই
মুহূর্তে জাত
পাক
আল্লাহতে দুটো
অবস্থা
ব্যাক্ত হলো
– ইচ্ছা
এবং
ইচ্ছার
কারন।
দ্বিতীয় অবস্থা
লীলার
উদ্দেশ্যে সৃষ্ট
এই
বিশ্বমন্ডল, গাছপালা, পশু
– পাখি,
চন্দ্র
– সূর্য,
গ্রহ
– তারা,
জীন
-ফেরেশতা ইত্যাদি কিন্তু
এসব
কারও
মাঝে
আল্লাহর গোপন
ইরাদা
ব্যক্ত
হলো
না।
তিনি
আপন
জ্যোতিতে আপন
ফেতরাত
জামাল
জালালের সমষ্টি
ভূতে
প্রকাশ
করলেন
সৃষ্টির সেরা
ফিল
আরদে
খলিফা
আদম
(আঃ)
কে।তাঁকে নিজ
সুরতে
মোহাম্মদী ওজুদে
বসানো
হলো।
প্রথম
সৃষ্টি
আহাম্মদী নূর
পঞ্চ
নূরের
রূপ
নিল।
আহাম্মদ কেবল
নাম
ভাগে
নিরাকারে অবস্থান নিল।
জাত
হতে
গুন
প্রকাশ
হতে
লাগল।
সৃষ্টি
হলো
জাতি
সেফাতি
নাম
রহিম,
করিম,
ছাত্তার, জব্বার
যথা
গুণবাচক নাম
যার
অবস্থান নিরাকারে। শরীয়ত
হলো এই নাম
ভাল
নিরাকার। এটি
বেলগায়েব তথা
অদৃশ্য
অসীম।
গন্ধের
মূল
খুঁজলে
গন্ধ
পাওয়া
যাবে
আর
ফুল
বিনা
গন্ধ
পাওয়া
যাবে
না।
আসলে
খোলা
ঘোমটা
খুলে
বলা
কঠিন।নিরাকার আল্লহতে সবাই
বিশ্বাসী। কিন্তু
সাকার
আল্লাহতে বিশ্বাসী নেই
বললেই
চলে।
এটি
খুব
কঠিন
ও
সাহসী
কাজ।
নাম
ভাগ
নিরাকার অবস্থাই আছে
এবং
নামের
বস্তুর
সন্ধান
করলেই
মওলার
তথা
আল্লাহর দিদার
পাওয়া
যায়।
তাই
গানে
বলা
হয়েছেঃ
– ধনাগার
হইতে
যখন
আপনি
পেলেন
চেতন,
প্রকাশিতে ইচ্ছা
হইল
– হইল
সৃষ্টির আকিঞ্চন। সে
যে
মহাশক্তি ছিল
ছয়
ভাগে
বিভক্ত
হইল,
নাম
ভাগ
নিরাকার হইল
পাঁচভাগে পাঞ্জাতন গড়ে।
এই
পাক
পাঞ্জাতন অজুদে
নিহিত
আছে
বেল
গায়েব
একিন,
এলমূল
একিন,
আইনূল
একিন,
হক্কুল
একিন,
হুয়াল
একিন।
পঞ্চ
অজুদে
তথা
পঞ্চ
ভাগে
শরীরে
স্থিত
আছে।
লতিফাতন, ফানাতন,
বাকাতন,
নূরীতন,
কেসিফতন তাতে
আছে
পঞ্চ
প্রেম
মেজাজী,
সিদ্দিকী, কাসেফি,
মাহবুবী ও
হাকিকী। মোমকেনাল, মোমতেনাল এ
ভাষায়
পঞ্চ
অজুদ
বসে
৫
x ৫
= ২৫
হলো।
মাটি
হতে
: হাড়,
মাংস,
ত্বক,
রগ,
পশম।
পানি
হতে
: শুক্র,
রক্ত,
মজ্জা,
মল
ও
মূত্র
আগুন
হতে
: ক্ষুধা,
তৃষ্ণা
নিদ্রা,
আলস্য,
ভ্রান্তি বাতাস
হতে
: ধারণ,
চলন,
সংকোচন,
প্রসারণ, ক্ষেপন। ছাফা
হতে
: কাম,
ক্রোধ,
লোভ,
মোহ
ও
লজ্জা।
এই
পঁচিশের মধ্যে
আরও
পঞ্চাশটি গুণ
রয়েছে।
সৃষ্টির নিগূঢ়
তত্ত্বটি ‘রজ্জব
দেওয়ান’
গানে
প্রকাশ
করেছেন
: পাঞ্জাতনের পঞ্চ
শক্তি
এই
সৃষ্টির সৃজনের
মূল,
পঞ্চে
পঞ্চ
আকার
সেজে
নাম
ধরেন
মুহাম্মদ রাসূল।
দরখত
একিনের
নিচে
বসলেন
নিজে
ময়ূর
সেজে,
পাঞ্জাতন স্বরুপে মিশে
এই
সৃষ্টির সৃজন
করে।
পাঞ্জাতনের পঞ্চ
শক্তি
অজুদে
স্থাপনপঞ্চ একিন
পঞ্চ
প্রেম
করে
তারে
নিরীক্ষন। পাঁচ
দিয়া
পাঁচ
করলে
পূরণ
দেখবি
পাঁচ
পাঁচা
পঁচিশের বন্ধন।
এই
জগৎ
করিয়া
সৃজন,
নিরাকার সাঁই
নামটি
ধরে।
এই
পঁচিশের বন্ধন
হলো
মুহাম্মদী অজুদ।
এই
অজুদের মাধ্যমে আল্লাহ
তাঁর
গুণ
প্রকাশ
করে
চলেছেন। তিনি
অলক্ষে
থেকে
তথা
অদৃশ্য
থেকে
তাঁর
গুণ
প্রকাশ
করে
চলছেন।
তাই
তিনি
সাধারণের নিকট
অপ্রকাশ, গুপ্ত,
অপরিচিত, নিরাকার। এই
অবস্থার প্রতি
বিশ্বাস হলো
বেল
গাইব
একিন।
এটি
শরীয়ত
তথা
আল্লাহ
পর্যন্ত পৌঁছিতে তথা
জাতে
অরুজ
করতে
আরম্ভ
পথ
তথা
প্রাথমিক পথ।
এখানে
রয়েছে
সমস্ত
ভাল
মন্দের
সমাহার। কিন্তু
এক
পর্যায়ে আল্লাহ
প্রকাশিত তথা
হুয়াজ
জাহের।
তিনি
কোথায়
এমন
রুপে
প্রকাশিত তা
আধ্যাত্মিক জ্ঞান
ব্যতীত
দেখা
সম্ভব
নয়।
অর্থাৎ
আল্লাহর চোখেই
আল্লাহকে দেখতে
হবে।
কাজেই
তাঁর
যে
অবস্থাটা নিরাকার তাঁর
সমস্ত
সৃষ্টিতেই আছে
তথা
মহিত
হয়ে
আছে
কাদির
রুপে।
নিরাকার মানে
যার
কোন
দিক
-নির্দেশনা, লক্ষ
নেই,
অনন্ত
অসীম।
কাজেই
নিরাকার আল্লাহ
খুঁজলে
হতাশ
হতে
হবে,
বিভান্ত হতে
হবে,
চিন্তা
শক্তি
অনন্তে
ফানা
হয়ে
যাবে।
কাজেই
নিরাশা
হয়ে
ফিরে
আসতে
হবে।
আল্লাহ
পাক
ঘোষনা
করেছেন
: “তোমরা
রবের
দাসত্ব
কর
এবং
আল্লাহর নৈকট্য
লাভের
জন্য
ওছিলা
তালাশ
কর
এবং
এই
পথেই
জেহাদ
কর,
সফলকাম
হবে।”
কাজেই
বায়াত
হওয়া
ওয়াজিব। কামেল
মুর্শিদ ব্যতীত
আল্লাহর নৈকট্য
লাভ
অসম্ভব। হরফে
মোকাত্তায়াতের মধ্যে
আলিফে
হলো
আল্লাহ
সত্তা,
লামে
আল্লাহর মানস রুপ পৃথিবী
আদম,
মীমে
তাঁর
উত্তর
সাধক
তথা
নবী
রাসূল।
এই
তিনের
বর্ণনা
সমগ্র
কোরান।
এই
তিন
অক্ষর
লুকায়িত আছে
আলহামদু শব্দের
মাঝে।
আহাদ,
আহম্মদ,
মুহাম্মদ এই
তিনের
মর্ম
ও
এখানে।
আলিফ
ও
লামের
উপর
দীর্ঘ
মদ
যোগে
আল
হয়েছে।
আল
অর্থ
: নূরের
বংশধর
তথা
কাওসারের ধারা
তথা
আত্মিক
বংশধর।
আলেমীম
তথা
মুহাম্মদের বংশধর।
এই
বংশ
চিরস্থায়ী নিত্য
বংশধর
এবং
এটি
অনন্তকালব্যপী বিরাজিত।সূরা কাওসারের মূল
মর্মার্থ এটাই।
কুরআনে বলা হয়েছে
– “ওয়াফি
আনফুসিকুম আফালাতাতুবসিরুন” অর্থ
: “আমি
তোমাদের নফসের
সাথে
মিশে
আছি
তোমরা
কি
দেখনা”?
এই
আনফাসেই চলাচল
আল্লাহ,
নবী,
আদম।
তিন
দমে
এক
দম
হা-হে-হু তিন
শব্দে
আসা
যাওয়া।
এলমে
ইরফানী
যারা
তাঁরাই
দেখতে
পায়।
হা-হুতের রাজ্য হতে
নাছুতে
এসে
ঘুরে
বেড়ায়।
কামেল
মুর্শিদের কাছে
এর
ভেদ
তত্ত্ব
জানতে
হবে।
No comments